দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে ঘুম ছুটেছে বিশ্ববাসীর। তার মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক মহলে আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে রবিবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিট নাগাদ উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন পূর্ব উপকূলের সুনান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধানের দাবি, এদিন উত্তর কোরিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সেটি জাপানের দিকে সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন- রাশিয়া সংকটের নেপথ্যে আসল কারণ আমেরিকা বলেই অভিযোগ করেছে পিয়ংইয়ং। এই বিষয়ে প্রথম সরকারিভাবে মুখ খুলে উত্তর কোরিয়া দাঁড়িয়েছে অবশ্য রাশিয়ার পাশেই। দুষেছে চিরশত্রু আমেরিকাকে।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে তারা জানায়, রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ন্যায্য দাবি অস্বীকার করে আমেরিকা ক্ষমতা বিস্তারের চেষ্টা করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। সংকটের মূল কারণ আমেরিকার উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে নিহিত। শান্তি ও স্থিতিশীলতার নামে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর যে দ্বিমুখী অবস্থান আমেরিকা নেয়, তার জন্যই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় পদক্ষেপের অধিকার সব দেশেরই রয়েছে। এখন আর আমেরিকার একাধিপত্য চলবে না। রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে কিম জং উন আদতে নিজেদের দেশের কথাই এভাবে স্পষ্ট করেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকা তথা পশ্চিমের দেশগুলির সাপে-নেউলে সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ‘একনায়ক’ বলে পরিচিত কিম আমেরিকার ‘দাদাগিরি’ কোনওদিনই সহ্য করে না। বরং আমেরিকার বিরুদ্ধে ঝাঁপাতে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েই চলেছে। বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে তার প্রদর্শনও করে কিমের সরকার। নতুন বছরের শুরুতেই বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। আর এবারের সামরিক সংকটে কিমের দেশ দাঁড়াল দীর্ঘদিনের বন্ধু রাশিয়ার পাশেই।