দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক: বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহররম আলী ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। আজ মঙ্গলবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ শোক দিবসে এমপির সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা আওয়ামী লীগ। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পথসভায় এএসপি মহররমের কুশপুতুল দাহ করা হয়। বিক্ষোভে এএসপি মহররমকে বরখাস্তের দাবি জানায় নেতাকর্মীরা। একই সময়ে জেলার উপজেলাগুলোতেও এএসপি মহররমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
পথসভায় ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘এই মহররম ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। তার বাবা-চাচা বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ছাত্রলীগ কর্মীদের পিটিয়েছেন। শুধু প্রত্যাহার করলেই আমরা সব ভুলে যাব না। আমরা মহররমের বরখাস্ত ও বিচার চাই।’
এমপি শম্ভু আরও বলেন, ‘গতকালের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের ছেলেদের কোনো দোষ ছিল না। তবু তাদের নির্বিচারে পেটানো হয়েছে। মহররমের নেতৃত্বে এমন জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছে পুলিশ। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। যারা এ ঘটনায় আহত হয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগ তাদের চিকিৎসার সব ভার বহন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই অগ্রযাত্রায় বাধা দিতেই কুচক্রীরা এ কাজ করেছে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সাংগাঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ, সদস্য মশিউর রহমান শিহাব, যুবলীগের সভাপতি রেজাউল কবির এ্যাটম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হয় প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় আজ আলোচিত এএসপি মহররমকে প্রত্যাহার করে বরিশাল ডিআইজির কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর বিকেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ।