স্টাফ রিপোর্টার: ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান (৪৭) নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ এলাকায়।
বুধবার দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের চাচা বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, আমার চাচাতো ভাই মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে হাদিসুর রহমান। চারভাই বোনের মধ্যে সে (হাদিসুর) দ্বিতীয়। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া করে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে হাদিসুর যোগদান করে।
বুধবার দিবাগত রাত ১০টার পর ইউক্রেন থেকে ওই জাহাজে থাকা অন্য লোকজন হাদিসুর রহমানের বাড়িতে ফোন করে তার (হাদিসুর) নিহতের খবর জানায়। উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, নিহত হাদিসুর রহমানের (৩৩) পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এবার বাড়িতে ফিরলে তাকে বিয়ে করানো হবে। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।
আমরা এখন দুশ্চিন্তায় আছি হাদিসুরের মরদেহ দেশে কীভাবে আনবো। যুদ্ধের কারণে যেখান থেকে জাহাজই বের হতে পারছে না, সেখানে হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে আসাটা আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করছি।
হাদিসুর রহমানের মৃত্যুর খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরার পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই বিচলিত ছিলাম। কারণ হাদিসুর পাঁচদিন আগে তার মাকে মোবাইলে জানিয়েছিল, যুদ্ধে আটকা পরেছে। ফিরে আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সেও সন্দেহ প্রকাশ করে। সেটাই সত্য হলো। হাদিসুর আমাদের ছেড়ে চলে গেলো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯ টা ২৫ মিনিটে ইউক্রেনের বন্দরে থাকা ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলা চালানো হয়। এতে ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। বাকি ২৮ জন নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হুসাইন।