স্টাফ রিপোর্টার: পরকীয়ার কারণেই ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় মামুন খানকে (২৩)। পরবর্তীতে লাশ গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হয়। ঘটনার পাঁচবছর পর এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনসহ এক ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ক্লুলেস এ মামলায় করিম মোল্লা (২৩) নামের একজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূলরহস্য বেরিয়ে এসেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বরিশাল জেলার পরিদর্শক মোঃ আবু জাফর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে পিবিআইয়ের জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি করিম মোল্লা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের মাহতাব মোল্লার ছেলে। ঢাকার ধামরাই থানাধীন বরাত নগর এলাকা থেকে তাকে (করিম) গ্রেফতার করা হয়।
করিম মোল্লা তার স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে মামুন খানকে একই গ্রামের তার পরকীয়া প্রেমিকা সাথী আক্তার ঝর্ণা খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাহারায় ছিলেন করিম মোল্লা। মামুন বাড়িতে আসার পর পরকীয়া প্রেমিকা ঝর্না ও তার স্বামী নাজমুল ইসলাম রুবেল তাকে ধরে ফেলে। তখন তার (করিম) বন্ধু নাজমুল তালুকদার ও আব্দুর রহিম মামুনকে চেপে ধরেন। মামুনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। একপর্যায়ে রুবেল তার স্ত্রী ঝর্নার ওড়না দিয়ে মামুনের গলায় ফাঁস দেয়ার মতো করে বেঁধে সবাই মিলে গাব গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় পরের দিন রুবেলে সাথে চুক্তি অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় করিম মোল্লা।
ঘটনার পরের দিন বাকেরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। সূত্রমতে, তদন্তকালে মামুন খানের সাথে সাথী আক্তার ঝর্ণার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ পায়। সেই সূত্রধরে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে করিম মোল্লাকে গ্রেফতারের পর ক্লুলেস মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে।