দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক: কক্সবাজারে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক দুই আসামির সঙ্গে জন্মদিনের কেক কাটায় চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসি ওসমান গণিকে চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে, বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২ মার্চ নিজের জন্মদিন উপলক্ষে অফিস কক্ষে কেক কাটেন ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গ্রেপ্তারি পরোনাভুক্ত পলাতক আসামি আরহান মাহমুদ ওরফে রুবেলসহ অন্য আসামিরা। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে অস্ত্রধারী একদল তরুণ চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেলকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণির জন্মদিন ছিল ২ মার্চ। ওই দিন তিনি নিজ কার্যালয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।
কিন্তু হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামিদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন পালনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
থানার মধ্যে পলাতক আসামিদের সঙ্গে ওসির জন্মদিন পালন, আসামিদের কেক খাইয়ে দেয়া ও আসামিদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি দেখে সমালোচনা করছেন অনেকে।
ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে অস্ত্রধারী একদল তরুণ চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন এবং তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় তারেকুলের ছোট ভাই তানজীমুল ইসলাম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ ওরফে রুবেলকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
কয়েক মাস আগে আদালতে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।