স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে পর পর দুটি থানার চেকপোস্ট পার হয়ে গেলেও চোর ধরা না পড়ায় দায়িত্বরত ১৪ পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তদন্তে গাফিলতি প্রমাণিত হলে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিকেলে জানিয়েছেন বরিশালের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন।
তিনি জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণ উজিরপুর ও গৌরনদী উপজেলার ১৪ জন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন গৌরনদী থানার এবং ৪ জন উজিরপুর থানার।
জানা গেছে, গত ২ জুন (বৃহস্পতিবার) রাত ৩টা ২০ মিনিটে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের গ্যারেজে থাকা ইয়ামাহা এফজেড ভার্সন-২ মডেলের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। ঢাকা-বরিশাল হাইওয়েতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চোর খালি পায়ে, চাবিবিহীন অবস্থায় মোটরসাইকেলটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ে হয়ে প্রথমে বরিশাল জেলার উজিরপুর ও গৌরনদী থানা এলাকার প্রবেশকালীন চেকপোস্ট অতিক্রম করে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার দিকে চলে যান। অথচ ওই রাতে দুই থানার টহল টিম দায়িত্ব পালন করছিল। মূলত টহল টিম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় চোর গাড়িটি দুটি থানা এলাকা অতিক্রম করে আরেক জেলা ফরিদপুরে প্রবেশ করতে পেরেছে।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে টহল টিম দায়িত্বে অবহেলা করেছে। এ জন্য ওই রাতে যারা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে গৌরনদী মডেল থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল গাফফার হোসেন, উপ-পরিদর্শক ছগির মিয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক সোহরাব হোসেন, কনস্টেবল ইকবাল, কামাল, মুরছালিন, নয়ন, অমৃত, মেহেদী ও ড্রাইভার (কনস্টেবল) আব্দুল হক রানা।
এ ছাড়া উজিরপুর উপজেলার চারজন হলেন উপ-পরিদর্শক জিয়াউল হায়দার, কনস্টেবল রবিউল ইসলাম, সোহেল রানা ও ইমরান হোসেন।
প্রসঙ্গত, শুধু উজিরপুর ও গৌরনদী থানা নয় মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার সামনে থেকে ওই চোরকে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে হয়েছে।