বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: সারাদেশে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ প্রজননের সময়। তাই এসময়ে মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকারে মৎস্য বিভাগ।
তবে এ মা ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চোরাইভাবে ইলিশ শিকার করেছেন অসাধু ও মৌসুমি জেলেরা।
এর ধারাবাহিকত ইলিশ শিকার বন্ধ করতে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমানের নির্দেশনা ও সর্বাত্মক সহযোগিতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস ও পুলিশি সহযোগিতায় বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমাড় মন্ডল এর নেতৃত্বে ২২ দিনে সকাল-সন্ধ্যা ২ টি ট্রলার দ্বারা ২৪ ঘন্টা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
এতে মোট ৯ জনকে ইলিশ শিকার অবস্থায় আটক করে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি উপজেলার হাট-বাজার ও মাছের আড়ৎ গুলো পরিদর্শন করা হয়।
অভিযানে ৫০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এবং অবৈধভাবে ব্যবহারিত ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৩ লাখ ১৪ মিটার কারেন্ট ও সুতার জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
তবে অভিযানের শুরুতে কিছুটা জল্পনা কল্পনা হলেও। ইউএনওর কঠোর হস্তক্ষেপ নানা অভিযোগে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানী পালকে মনিটরিং কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাসকে নিয়ে এ মনিটরিং কমিটি গঠন হয়। তাদের সহযোগী হিসেবে ছিলেন, সংযোজিত (এক্সটেনশন) মহাদেবপুর মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার এ.কে জামান, গৌরনদী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক শংকর লাল গাইন, বাবুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী সুমাইয়া আলম, মাঠ সহায়ক সাইফুল ইসলাম আতিক ও সোহাগ হোসেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানী পালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তকে এ অভিযানে কোন দ্বায়িত্ব রাখা হয়নি। এ জন্যই অভিযান সফল হয়েছে। তার কথিত ধর্ম (পাতানো) ভাই করিম হোসেন চরমলঙ্গ এলাকায় চুক্তির মাধ্যমে জাল ফেলেন। এবং তার মোটরসাইকেল ড্রাইভার মোকলেছের মাধ্যমে মশারি জাল, বাঁধা জাল ও জাটকা অভিযানের সময় জেলেদের সাথে চুক্তি করেই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরো জানা গেছে, তার যোগদানের পর এ ২ বছরে কোন অভিযান সফল হয়নি । কোন মশারী বা বাঁধা জাল জব্দ করেননি তিনি। সাবেক ইউএনও নুসরাত ফাতিমা স্যারের সাথে তার একাধিকবার বিভিন্ন অভিযোগ ও অনিয়ম নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান জানান, সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে আইন অমান্য করে অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৯ জন আটক করা হয় এবং তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি এ ২২ দিনে ৩ লাখ ১৪ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। আমরা মনে করি আমরা ভালো ভাবেই অভিযান পরিচালনা করতে পেড়েছি এবং সফল হয়েছি।