স্টাফ রিপোর্টারঃ বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে ট্রলার ভাড়া চাওয়া নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মুলাদী উপজেলার চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম মিঠু ও সভাপতি জুয়েল নেতাকর্মীদের নিয়ে বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে মুলাদী যাবার পথে সভাপতি জুয়েলের কাছে ট্রলার ভাড়ার দাবি করেন। তিনি ভাড়া না দিয়ে বলেন আমরা ফেরিতে যাবো। ফেরিতে গেলে কেন ভাড়া দেবো এ নিয়ে তর্কে জড়ান তিনি। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল মুলাদি থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং বরিশাল মহানগরের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহকে রিসিভ করতে বরিশাল বিমানবন্দরে আসি এবং তাদের বহরে অংশ গ্রহণ শেষে রাত ৮টার দিকে মীরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে পার হওয়ার সময়। জুয়েলের কাছে ভাড়া চায়, জুয়েল বলেন আমার ফেরিতে পার হবো ভাড়া দেবো কেন। এ কথা বলায় ইজারাদাররা ফেরি বন্ধ করে রাখেন এতেই শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। আমি থামানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় লোকজন জুয়েল ও নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।
এদিকে ফেরি ও খেয়াঘাটের ইজারাদার বরিশালের ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকনকে ফোনে বারবার চেষ্টা করাও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে মুলাদীর যাদের সাথে ঝামেলা হয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে মীরগঞ্জ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন। ভাড়া চাওয়া ও ফেরি ছাড়তে দেরি করায় একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এতে কোন বড় ধরনের ঘটনাও ঘটেনি। বা কোন পক্ষ অভিযোগও করেনি।