বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: একই বিয়েতে দুইধরনের কাবিননামা দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অবশেষে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে আবদুর রহমান নামের এক বিয়ের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারকে (কাজী)। ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের।
মঙ্গলবার শেষ কার্যদিবসে আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাবিননামা জালিয়াতির ঘটনায় বর পক্ষের দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন বিয়ের কাজী আবদুর রহমান। মঙ্গলবার দুপুরে কাজী রহমান বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক মোঃ মনিরুজ্জামান কাজী রহমানকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরহোগলপাতিয়া গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়ে হাফিজা বেগমের সাথে পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার পূর্বগরঙ্গল গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে আবু বকর হাওলাদারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর দাস্পত্য কলহের কারণে স্বামী আবু বকরের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট তার স্ত্রী বরিশাল আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার আবদুর রহমানের কাছ থেকে দেন মোহরের ৫৩ হাজার টাকার কাবিননামা উত্তোলন করে আদালতে দাখিল করেন স্ত্রী হাফিজা। ২০১৫ সালের ২৪ মে স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে বেখসুর খালাস পায় স্বামী আবু বকর। পরবর্তীতে একই নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকার কাবিননামার জায়গায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ভূয়া কাবিননামা উত্তোলন করে পূর্ণরায় গৌরনদী সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন হাফিজা। একই বিয়েতে প্রতারনার মাধ্যমে দুইধরনের কাবিননামা দেয়ার ঘটনায় অবশেষে আবু বকর হাওলাদার বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।