স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিন রাকুদিয়া গ্রামের তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ উঠে একই গ্রামের ছত্তার ফকিরের ছেলে তিন সন্তানের জনক সোহেল ফকির(৪৪) বিভিন্ন প্রলোভনে (ছদ্মনাম) রেনু বেগমকে(৩৫) ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে সালিশরা একটি ওডিও ফোন রেকর্ড থেকে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানে গেছে। তবে বিষয়টি মিট-মীমাংসা উদ্যোগ নিয়ে এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফায় শালিস-বৈঠক করেও ব্যর্থ হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় শালিসদের কাছে গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে স্বিকারক্তি দিলেও ধর্ষক সোহেল ফকির প্রভাবশালী হওয়ায় শালিসরা মীমাংসা করতে অপারগতা জানায়।
স্থানীয় শালিস মো: আলী হোসেন জানান ধর্ষক ও ধর্ষিতার পরিবারকে নিয়ে বসে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে, এসময় শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন, সমাজ সেবক সেলিম শরিফ, রেহানা ও মহিলা ইউপি সদস্য নার্গিসসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক সোহেল ফকির বলেন, যা হয়েছে দুজনার সমঝোতাতেই হয়েছে এখন কিছুই বলার নাই। এখন যা হবার তাই হবে।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ সাংবাদিকদের বলেন,গত একমাস আগে সোহেল আমার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। আমি লোকচক্ষুর ভয়ে কাউকে কিছু বলতে সাহস পাইনি। এদিকে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ও তাকে নিয়ে ঘর-সংসার করতে অস্বীকৃতি জানান।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এধরণের কোন অভিযোগ আমি এখনও পাইনি। তবে বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের মন্তব্য করতে চাই না।