বাবুগঞ্জ (বরিশাল) সংবাদদাতা: গত ৪ বছরেও বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রাজার খালের ওপর বাবুগঞ্জ সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছে বাবুগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদী উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এই ৩ উপজেলার একমাত্র যাতায়াত পথ বাবুগঞ্জ উপজেলার বাবুগঞ্জ ব্রীজটি। বরিশাল মীরগঞ্জ সড়কের বাবুগঞ্জ বন্দরের প্রবেশ পথে রাজার খাল ওপর বাবুগঞ্জ বেইলি ব্রিজটি গত ৪ বছর আগে অকেজো হয়ে পড়লে ব্রিজটি ভেঙে নতুন কাঠামোর একটি ব্রিজ তৈরি করছেন বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
গত ৪ বছর আগে টেন্ডার আহ্বান ও কার্যাদেশ প্রদান করা সত্বেও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ মাঝ পথে গিয়ে থমকে আছে। দীর্ঘ ৪ বছর পেড়িয়ে গেলেও ব্রিজের দু-পাশে তৈরি হয়নি অ্যাপ্রোজ সড়ক। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে বাবুগঞ্জসহ তথা তিন উপজেলার মানুষ।
প্রতিদিনই এখান থেকে ৩ উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়ত করেন। আপাতত ব্রিজের পাশ দিয়ে ছোট একটি ভাঙ্গাচুরা বেইলি ব্রিজ তৈরি করলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এতে বিড়াম্বনার শিকার হতে হয় চালক ও যাত্রীদের।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১৮ নভেম্বর ২০১৮সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্যাকেজ টেন্ডারে হলে রানা বিল্ডার্স কাজটি পায়। টেন্ডারে বাবুগঞ্জ ব্রীজটি ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যে বরাদ্ধ হয় প্রায় ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু যায়গা না থাকায় পরবর্তীতে ব্রিজের আকার ছোট করে ২৮ মিটার তৈরির সিন্ধান্ত নেয় সড়ক ও জনপদ এতে ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা কমে ৪ কেটি ৪০ লক্ষ বরাদ্ধ স্থিতি থাকে। এতেই ক্ষুদ্ধ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সম্পূর্ন কাজ শেষ করার কথা ২০২০সালের ১৫ই এপ্রিল। কিন্তু ৪ বছর অতিবাহিত হলেও বাবুগঞ্জ ব্রিজটি কাজ সম্পূর্ন হয়নি। এদিকে রানা বিল্ডার্সের ঠিকাদার কাজী মাসুদ ব্রজিটি নির্মানে ৩ বার সময় বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত কাজটি শেষ করতে পারেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে তিন উপজেলাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিবীদরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এদিকে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাবুগঞ্জ রাজার বেড় খালের ওপর বাবুগঞ্জ ব্রিজটি প্রায় ৪ কোটি ৪০লক্ষ টাকায় নির্মাণের দায়িত্ব পায় রানা বির্ল্ডাস নামে ঠিকাদারী একটি প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরু থেকেই ঢিলেঢালা ভাবে নির্মাণ করছেন ব্রিজটির। তাকে একাধিক বার চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রানা বিল্ডার্স ঠিকাদার কাজী মাসুদ বলেন, সেতুটির টেন্ডার হওয়ার পর সেতুটি নকশা পরিবর্তন করেন সড়ক ও জনপথ এতে আমাকে ইচ্ছে পূর্বকভাবে তারা প্রায় ২বছর সময় লাগিয়েছে ওয়ার্ককাটার দিতে। নয়তো এতো দিনে আমার সিকিউরিটির টাকাও নিয়ে যেতে পারতাম।