স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে প্রেমিকের মায়ের হাতের অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে মোসাঃ রিপা আক্তার (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের রাজকর গ্রামের নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত রিপা আক্তার বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ শাখার মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ও রহমতপুর ইউনিয়নের রাজকর গ্রামের হেমায়েত কাজীর মেয়ে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ চার বছর ধরে একই গ্রামের যুবক আফজাল হোসেন(২৫) নামের সাথে নিহত কলেজ ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিছুদিন আগে দুই পরিবারের মধ্যে তাদের বিয়ের আলোচনা হয়। কিন্তু ছেলেপক্ষ রাজি না থাকায় বিয়ে হয়নি।
নিহতর বাবা মোঃ হেমায়েত কাজী ও মা মোসাঃ ফিরোজা বেগম ঢাকায় একটি গার্মেন্সে চাকরি করার সুবাধে নিহত মোসাঃ রিপা আক্তার ও তার ছোট বোন নিতু আক্তার বাড়িতে থেকে বসবাস করে তারা পড়াশোনা করে আসছেন।
নিহত রিপার ছোট বোন নিতু আক্তার সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন বলেন, আত্মহত্যার আগের দিন আফজাল ও তার মা রিপা আপুকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এজন্যই আমার আপু আত্মহত্যা করেছে।
আমি সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। সকাল ১১ টার দিকে প্রাইভেট থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় জালানার ফাক দিয়ে তার বড় বোনকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে ডাক চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসেন।
এসময় স্থানীয়রা বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ কে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বাবুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) তদন্ত মোঃ অলিউল ইসলাম জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন আত্মহত্যার আগের দিন নিহত রিপাকে বকাঝকা করেন ছেলের মা। একারণে ছেলের মাকে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।