মুলাদী প্রতিনিধি: মুলাদীতে একটি পরিবারের কাছে বারবার হামলা-মামলা শিকার হচ্ছে উপজেলার চরকমিশনার শতাধিক গ্রামবাসী। হামলা ও মামলায় দিন দিন নিঃস্ব হচ্ছেন তারা।
শুক্রবার (১৫জুলাই) বিকেলে প্রবাসী জসিম মোল্লা ও প্রবাসী মনির বেপারীর পরিবারের সদস্যদের ৬জনকে আলমগীর ও জব্বার গ্রুপ কাচি দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদেরকে ভর্তি করা হয়।
জানা যায় প্রবাসী জসিম মোল্লা ও প্রবাসী মনির বেপারী সাব-কবলা দলিল মূলে মালিক। কিন্তু তারা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় তাদের জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করার চেষ্টা করে আলমগীর ও জব্বার গ্রুপ। এ খবরে জসিম মোল্লা প্রবাস থেকে বাড়ি এসে আদালতে একটি অভিযোগ করা। এতে বিজ্ঞ আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই সম্পত্তিতে ১৪৪ধারা জারি করেন।
২মাস পরে জসিম মোল্লা প্রবাসে চলে গেলে আবারও আলমগীর গ্রুপ তাদের জমিতে থাকা তারকাটার বেরা কেটে ফেলে এবং গাছপালা বিনষ্ট করে দেয়। এতে জসিম মোল্লার পরিবার আদালতে আবারও অভিযোগ করলে বিজ্ঞ আদালত আলমগীর গংকে শোকজ নোটিশ দেন।
আলমগীর ও জব্বার গ্রুপ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ও নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে। আবারও ১৫জুলাই শুক্রবার বিকেলে প্রবাসী জসিম মোল্লা ও প্রবাসী মনির বেপারীর শোকজী জমিতে থাকা তারকাটার বেরা, গাছপালা ও গোয়ালঘর ভেঙে চুরে ফেলে দিয়ে দখলে যাবার চেষ্টা করা। এসময়ে জসিম মোল্লার বোন জামাত মন্টু হাং(৩৬), বোন মরিয়ম(৩২),ভাগিনা লিটন(১৫) বাধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে মনির বেপারীর শালিকা সাহনাজ পারভীন(৪৫) ভায়রার ছেলে আরিফ মাতুব্বর(২৫) ও ইকবাল(২০) তাদেরকে সাহায্য করতে এলে। তারাও হামলার শিকার হন। এবং তাদেরকেও মাথায় ও হাতে কুপিয়ে জখম করেন।
এতে আলমগীরসহ ৮জনকে আসামী করে মুলাদী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন মন্টু হাং, মামলা নং-৬২/২২
এদিকে আলমগীর ঘরামী(৫৫) ও তার স্ত্রী হাওয়ানুর(৫০) বাদী পক্ষেকে মিথ্যাভাবে ফাঁসাতে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীরের কোন স্থানে ক্ষত না পেয়ে প্রথমিক চিকিৎসার দেন। মিথ্যা ভাবে বাদী পক্ষেকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে এমনে সংবাদে মুলাদী থানা পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তদন্তের জন্য গেলে সেখানে থেকে পালিয়ে আলমগীর ও স্ত্রী।
পরদিন (১৬জুলাই) শনিবার আলমগীর নিজের পা কেটে ও স্ত্রীর হাত কেটে সেবাচিমে ভর্তি হয়। এবং জোরালো তদবির চালাচ্ছে হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আদালতে মামলা করবে।
এবিষয়ে মুলাদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাকসুদুর রহমান বলেন, আলমগীর ঘরামীরা লাঠিয়াল প্রকৃত লোক,এর আগেও এরকম কাজ তারা করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে আইনগত ভাবে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালছে।