মুলাদী (বরিশাল) সংবাদদাতা: মুলাদীতে ফসলি জমি থেকে ইটভাটায় মাটি কেটে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় হামলার অভিযােগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের চরকমিশনার (কাঠেরচর) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এত কমপক্ষ ১৩জন আহত হয়েছে। চরকমিশনার কাঠেরচর গ্রামর আব্দুস ছত্তার খানের জমি থেকে মাটি নেওয়ার প্রতিবাদ করায় একই গ্রামর বাচ্ছু পালােয়ানের নেতৃত্বে ১৪/১৫জন দুর্বত্ত এই হামলা চালায় বলে অভিযােগ করেছেন আহতরা।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুলাদী থানায় অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে।
আব্দুস ছত্তার খান জানান, বাচ্ছু পালােয়ান ও সেলিম পালােয়ানের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে কৃষি জমি বন্ধক রাখেন। ওই জমিত ফসল উৎপাদন করে বন্ধকগ্রহীতাদের ভােগদখল করার শর্ত ছিলাে। কিন্তু বাচ্ছু পালােয়ান শর্ত ভেঙে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকপ লােকজন ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া শুরু করেন। ওই সময় আব্দুস ছত্তার খান তাদের বাঁধা দেন এবং ইটভাটায় মাটি নেওয়ার প্রতিবাদ জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্ছু পালােয়ান ও তার লােকজন আ. ছত্তার খানকে মারধর করেন। পর উপস্থিত লােকজনের মধ্য¯তায় বন্ধকের চুক্তি শেষ করে বাচ্ছু পালায়ানেক টাকা ফেরতের কথা হয় একই সাথে আব্দুস ছত্তার খানের দেওয়া লিখিত চুক্তির স্ট্যাম্প ফেরত দেওয়ার কথা জানান বাচ্ছু পালােয়ান ও সলিম পালােয়ান।
বেলা ১১টার দিক আব্দুস ছত্তার খান বাড়ি থেকে বন্ধকের ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে জমিতে যান। ওই সময় বাচ্ছু পালােয়ান ও সলিম পালােয়ান স্ট্যাম্প ফেরৎ না দিয়ে রামদা ও লাঠিসাটা নিয়ে আব্দুস ছত্তার খানের ওপর হামলা চালায়। তাঁর ডাকচিৎকার স্বজনরা রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
এসময় আব্দুস ছত্তার খানের ছেলে ইলিয়াছ খান, ভাই হাসেন খান, ভাইয়র ছেলে তনু খানসহ কমপক্ষে ১৩জন আহত হয়। এদের মধ্যে ইলিয়াছ খান ও তনু খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাথায় ১৫টির বেশি সেলাই লেগেছে। মহিলাসহ দু-জনার হাত ভেঙে দিয়েছে। হামলাকারীরা আব্দুস ছত্তার খানের থেকে ৮৫ হাজার টাকা এবং মহিলাদের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযােগ করেছেন তাঁরা।
পরে স্থানীয় লােকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় আব্দুস ছত্তার খান বাদী হয়ে বাচ্ছু পালােয়ানসহ ১৪জনর বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযােগ দিয়েছেন।
বাচ্ছু পালায়ান হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, বন্ধকী জমি থেকে মাটি নেওয়ার সময় আব্দুস ছত্তার খানের লােকজন বাঁধা দেয়। এনিয়ে তাদের সাথে আমাদের হাতাহাতি হয়। এতে আমাদের ৩/৪ জন আহত হয়েছে।
এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার মণ্ডল বলেন, মাটি কাটাকে কেদ্রে করে দুই পক্ষের লােকজন আহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।