দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক: মেয়ের ধর্ষককে হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
জানা গেছে, একজন মেয়েটির বাবা, অন্যজন মেয়েটির মামা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায়।
সোমবার পুলিশের কাছে খবর আসে অজনল নদীতে এক ব্যক্তির কাটা দেহ ভাসছে। পরে তদন্ত নামে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, মৃত ব্যক্তির নাম ত্রিলোকচাঁদ (৫৫)। দেশটির খান্ডোয়ারই শক্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানতে পারে শনিবারই শেষবার দেখা গিয়েছিল ত্রিলোকচাঁদকে। তার পর থেকে তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তার পরই সোমবার ৪০ কিলোমিটার দূরে তার মরদেহ অজলন নদীতে ভাসতে দেখা যায়।
পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার (এসডিওপি) রাকেশ পেন্দ্রো জানিয়েছেন, ত্রিলোকচাঁদের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কিশোরীর বাবা এবং মামা। শনিবার ত্রিলোকচাঁদকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে অজলন নদীর ধারে নিয়ে যান কিশোরীর বাবা এবং মামা। সেখানে প্রথমে ত্রিলোকচাঁদের মাথা কাটে ওই দুই ব্যক্তি। তার পর তার দেহ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন। ত্রিলোকচাঁদকে খুন করার জন্য মাছ কাটার বঁটি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি এবং অভিযুক্তরা একে অপরের আত্মীয়।