দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক: টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি নৌপথ ও স্থলে ভ্রাম্যমান টিকাদান কার্যক্রম চলছে শরীয়তপুরে। গ্রামের বাড়ি বাড়ি, হাট-বাজার ও নদী পথে নৌকায় করে টিকা কার্যক্রম চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ।
অসুস্থ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, কর্মজীবী, ভবঘুরে ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
শরীয়তপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শনিবার শরীয়তপুরের ৬৫টি ইউনিয়ন ও ছয়টি পৌরসভা এলাকায় ৬৫ হাজার মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে তিনটি করে টিকা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এছাড়া জেলা হাসপাতাল ও ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেয়ার কার্যক্রন চালাচ্ছেন।
গত এক বছরে শরীয়তপুরে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৮ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়েছে।
শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ টিকা ক্যাম্প চালু করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার বালাখানা এলাকায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই।
শরীয়তপুরের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল গোসাইরহাট উপজেলার মেঘনা নদীয় নৌকায় করে জেলে ও বেদেদের দিনভর টিকাদান কার্যক্রম চালায় প্রশাসন। টেকপাড়ের নদীতে মাছ ধরছেন হালিম মাঝি। ভ্রাম্যমাণ টিম তার কাছে গিয়ে প্রথম খোঁজ টিকা প্রদান করেন। হালিম জানান, ভ্রাম্যমাণ টিম টিকা প্রদান না করলে আমার টিকা দেয়া হতো না। আমরা জীবিকার কারণে নদীতে থাকি। একদিন কাজ বন্ধ দিলে ঘরে খাবার জোটে না। টিকা দিতে সময় পায় কখন? প্রশাসনের লোক কাছে এসে টিকা দিলো। আমি খুব খুশি।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন,আমাদের কাছে খবর ছিল অনেক অসুস্থ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নাগরিক টিকা কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। তাদের কাছে গিয়ে সেবা দেয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ টিকা ক্যাম্প করার উদ্যোগ নেই। ভ্রাম্যমাণ টিকা ক্যাম্প নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের বাড়ি গিয়ে টিকার কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে নিয়ে এ কাজটি সমন্বয় করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওরা।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন,আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ১২ বছরের উর্ধে শতভাগ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আনার। টিকা দেয়ার কেন্দ্রগুলোর বাইরেও ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প করা হয়েছে। যা আগামী কয়েকদিন মাঠপর্যায়ে চলবে। আমরা শতভাগ টিকা সম্পন্ন জেলা ঘোষণা দিতে চাই।